https://www.w3counter.com/tracker.js?id=146827 bd quotes

Monday, September 26, 2022

ফেসবুক স্ট্যাটাস ছবি

 ফেসবুক স্ট্যাটাস ছবিঃ প্রিয় পাঠক বন্ধুরা তোমাদের জন্য নিয়ে এলাম ভালো লাগার মতো দেখার মতো কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস ছবি। আশা করছি দেখতে পেরে ও পড়তে পেরে তোমাদের ভালো লাগবে। ধন্যবাদ

                                                      আরো পড়ুন>>> ফেসবুক স্ট্যাটাস

                                    ফেসবুক স্ট্যাটাস ছবি
*** মাঝে মাঝে আত্মার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ক কেও অতিক্রম করে যায়..!
ফেসবুক স্ট্যাটাস ফোটো
*** অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মত এমন বিড়ম্বনা আর না। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ফেসবুক স্ট্যাটাস ইমেজ
*** কোন কিছুতেই এখন আর কষ্ট হয় না, কারণ কষ্ট পাওয়াটাই যেন আভ্যাস হয়ে গেছে..!
ফেসবুক স্ট্যাটাস পিক
*** নরম কাঁদা একবার পুড়ে যদি ইট হয়ে যায়, তারপর যতই পানি ঢালা হোক না কেন, তার আর গলে না বরং শক্তিশালী হয়। মানুষের মনও একই রকম, একবার কষ্ট পেলে এরপর শত আবেগেও তার কোন পরিবর্তন হয় না। -টার্মস টমাস
ফেসবুক স্ট্যাটাস পিকচার
*** সপনো সেটা নয় যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে,স্বপ্ন সেটাই যেটা পুড়ন না করলে মানুষ ঘুমাতে পারেনা..!
ফেসবুক স্ট্যাটাস ওয়েলপেপার
*** নিজের লক্ষ্য ও স্বপ্নকে আপনার আত্মার সন্তান হিসেবে লালন করুন, এগুলোই আপনার চূড়ান্ত সাফল্যের নকশা হবে..!

Monday, September 19, 2022

ফেসবুক স্ট্যাটাস

ফেসবুক স্ট্যাটাসঃ প্রিয় পাঠকবৃন্দ তোমাদের সবার জন্য নিয়ে এলাম মজার সব ফেসবুক স্ট্যাটাস। অসাধারণ কিছু স্ট্যাটাস, কথা ও উক্তি নিয়ে সাজানো আমার এই পেজ। আশা করছি তোমাদের সবার কাছে পড়তে পেরে ও শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগবে। 

                                      আরো পড়ুন>>>  ভালোবাসার গল্প


                                                       ফেসবুক স্ট্যাটাস


### "জীবনের সবচেয়ে বড় জয় হলোঃ এমন কিছু করে দেখানো,
যা সবাই ভেবে ছিলো তুমি কখনোই করতে পারবে না"
### "এক কোটি বছর আগে জন্মে ছিলাম শুধু তোমার ভালোবাসা পাবার জন্য , এখনো অপেক্ষা করে আছি, তুমি আমাকে ভালোবাসবে বলে"
### "শুনলাম তার খোঁজ নেওয়ার নতুন মানুষ হয়েছে
তাই আমার ছুটি"
### "মনের মাঝে " সন্দেহ " ভাইরাস ঢুকিয়ো না .... অশান্তি সৃষ্টির জন্য সন্দেহ একাই একশো
### একদম রোগা মেয়েদের দেখলে মশাও মনে করে এদের রক্ত খাবো , নাকি এদের রক্ত দেবো ...!
### প্রতিবার আমি পরীক্ষার আগের রাত্রে সিলেবাস দেখে একটা ছোটখাটো স্ট্রোক করি...!
### অভাবটা দুজনেরই ছিলো একজনের ভালোবাসার , অন্যজনের বিশ্বাসের...!
### মানুষের জীবন হলো একটি ফুল, আর ভালোবাসা হলো মধুস্বরুপ।
### যাকে ভালোবাস, তাকে চোঁখের আড়াল কর না।
### ভালোবাসা এমন একটি প্লাটফর্ম, যেখানে সব মানুষ দাড়াতে পারে।
### দুটো চকলেট কিনছি একটা আমি খাবো আর একটা কিছুক্ষণ পরে আমিই খাবো
### আমার বন্ধুগুলার চেহারা মাশাল্লাহ কিন্তু তাদের চরিত্র আস্তাগফিরুল্লাহ
### মনের মধ্যে শান্তি নাইরে যেদিকে তাকাই জোড়া আর জোড়া মাঝখানে আমি এক কপাল পোড়া
### কিছু মানুষ আছে, যারা ছ্যাকা-ট্যাকা কিছুই খায় না হুদাই স্যাড পোষ্ট কইরা আপন মানুষদের টেনশনে রাখে...!
### প্রেম করলে কেমন লাগে? তা জানতে চাওয়া আমার নিস্পাপ মন...!
### সব ছেলেরাই মেয়ে দেখলে চুল ঠিক করে না কিছু ছেলে মেয়ে দেখলে মাথাও নিচু করে...!
### যারা বেশি রাত জাগে তারা তাড়াতাড়ি মারা যায়...!
### বাবা হওয়ার সপ্ন দেখিয়ে । মামা বানিয়ে চলে যাওয়ার নামই হলো । Same age Relationship
### সব স্যারদের একটাই ডায়লগ: আপনার ছেলের মেধা ভালো! কিন্তু পড়ে না!
### আমার এক বন্ধু বহু কষ্টে জীবনে একটা মেয়ে পটাইসিলো সৌভাগ্যবশত ওইটা ফেক আইডি ছিল!!
### বাপ খাই দার করিয়া বিড়ি মেয়ে ফেসবুকে নাম দিয়েছে ডানা কাটাপরি...!
### লাইটের মধ্যে আব্বুর নাম লেইখা দিছি! মোট কথা যেভাবেই হোক আব্বুর নাম উজ্জ্বল করতে হবে...!
### যে কবির কল্পনাতে জীবন শুধু প্রেম গান, আজ সে আমার কাছে অগ্রাহ্য।
### বালক তোমার নিজের বলতে কিছু নাই তোমার ইয়েটা ও অন্যর কথা মনে করে দাঁড়ায়!
### ছেলেরা চুল বড় রাখলে খারাপ ভাবার কিছু নেই নিউটন বা রবীন্দ্রনাথ হওয়ার লক্ষন
### আমি চলে গেলে কেউ যদি আমার জন্য না কাদেঁ, তবে আমার অস্তিত্বের কোন মুল্য নেই
### সারা বছর কাঁচা আম দেয়া ডাল কিভাবে খাওয়া যায় চিন্তা করতেছি।
### শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার জন্য সারাদিন বসে বসে দোয়া করা আমি আর আমার বন্ধু
### ভালোবাসলেই কি তাকে পেতে হবে থাকুক না কিছু ভালোবাসা অপূর্ণতায়...!
### মনে রাখবেন অন্যের দিকে আঙ্গুল তুল্লে, নিজের দিকে তিনটি আঙ্গুল ঘুরে থাকে।
### আমার চিন্তা বন্ধ করুন, মানশিক ভাবে সুস্থ থাকুন।
### আমি কোন দিন হারি না, জিতি নয়তো শিখি।

Tuesday, February 4, 2020

ভালোবাসার গল্প

ভালোবাসার গল্প: প্রিয় পাঠক বন্ধুরা তোমাদের জন্য নিয়ে এলাম নতুন এক ভালোবাসার গল্প। আমার কাছে গল্পটি পড়তে অনেক ভালোলেগেছে তাই তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ    
                                                 আরো পড়ুন>>> ভালোবাসার স্ট্যাটাস                             

                                                            ভালোবাসার গল্প


ভালোবাসার গল্পটি সবার জীবনে কেউ না কেউ এমন স্পেশাল পারসন আছে যা ভালো লাগা থেকে শুরু করে ভালোবাসা হয়ে যায় ।  এমন অনেক কাহিনী আছে । সবার জীবনে ভালোবাসা আছে । ভালোবাসার কথা অনুভুতি প্রকাশ করা যায় না । ভালোবাসা হঠাৎ করে হয় জেনে বা শুনে হয় না । আজ পযর্ন্ত কেউ ভালোবাসা কে ছোট করে কথা বলতে পারেনি । ভালোবাসা মন থেকে হয় টাকা বা সম্পত্তি দিয়ে কেনা বেচা হয় না ভালোবাসার । এটা দুটি মনের  মনের মিলন মেলা । যেখানে দুজন দুজনার । 
বিশাল এরিয়ার উপর প্রাসাদসম বাড়িটাকে ঠিক নতুন বউয়ের মত করে সাজানো হয়েছে।চারিদিকে আর্টিফিসিয়াল লাইটিং আর রং বেরঙের কাগজ,লাইট,বেলুন,ফুল আর রঙিন ফিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে।কিছু্ক্ষণ আগেও লোকজনের কোলাহলে গম গম করছিল কিন্তু এখন সব একেবারে নিস্তব্ধ।হবে নাই বা কেন?রাততো আর কম হল না,যে যার মত ঘুমিয়ে পড়েছে শুধুমাত্র দুজন ছাড়া।তাদের মধ্যে একজন হলাম আমি আর অন্যজন আমার বর… (ভালোবাসার হাতছানি)
হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এ বাড়িতে আজ একটা বিয়ে হয়েছে,আজ বললে হয়তো ভুলই হবে।আসলে বিয়েটা গতকালকেই হয়েছে,আজকে আমাদের বাসররাত।অবাক হচ্ছেন?ভাবছেন বিয়ে কালকে হল অথচ বাসর আজকে!অবাক হবেন না,আসলে পরিস্থিতিটাই এমন ছিল যে এছাড়া আর কোন উপায়ই ছিল না…আমাকে এখন যেই রুমটাতে রাখা হয়েছে সেটা নাকি উনার মানে আমার বরেরই রুম,বাসরঘর বলতে যেমন একটা ঘরকে একটা মেয়ে কল্পনায় ভাবে এই রুমটা ঠিক তেমনই।কিন্তু আমার মধ্যে বিন্দুমাত্র কোন আগ্রহ নেই,থাকবে কি করে এই মানুষটাকে যে আমি স্বপ্নেও আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে ভাবিনি!মাত্র একবারই তারসাথে আমার দেখা হয়েছে তাও আজ থেকে প্রায় মাস ছয়েক আগে…

(ছয় মাস আগে)
-উফ!আম্মু আমরা ওখানে কেন যাচ্ছি বলতো,আমার কিন্তু প্রচণ্ড বিরক্ত লাগছে

-আমরা কেন যাচ্ছি তুই জানিস না?
-জানবো না কেন?কিন্তু আমি একটা জিনিস কিছুতেই বুঝছি না তোমরা আপুর কথা শুনতে গেলে কেন?ওকে নিষেধ করতে পারলে না?
-মেনে কি আর সাধে নিয়েছি?তোর আপুকে চিনিস না?ওর কথা না শুনে উপায় আছে?
-সব হয়েছে ঐ বিদেশী চ্যানেলগুলোর জন্যে।Destination weeding বলে কোন জিনিস কি এখনও বাংলাদেশে সেভাবে চালু হয়েছে তোমারই বল,না হয়নি কিন্তু তোমাদের আদরের বড় মেয়ে কি বলল,”বিয়ে যদি করতেই হয় তাহলে Destination wedding ই করব আর সেটাও কোন একটা রয়্যাল প্যালেসে অথবা ভাল কোন ট্যুরিস্ট স্পটে!”পাগলামীর একটা লিমিটেশন আছে আম্মু…
-চুপ কর ও শুনতে পাবে তো… ভালোবাসার হাতছানি
-পেলে পাক তাতে আমার কি?ভাগ্যিস শহীদুল আঙ্কেল ছিল,নাহলে যে কি হত! নাহলে হয়তো তোমাদের ঐ পাগলী মেয়ে বিয়েটা না করেই…মা শোনো,এই তোমাদের জন্যই এসব হচ্ছে আমি বলে দিচ্ছি তোমরা দেখে নিও ও একদিন আরও বড় বিপদ ডেকে আনবে…
-আচ্ছা বাবা ঠিক আছে ঠিক আছে,আমাদেরই সব দোষ এবার খুশিতো?
-হ্যাঁ তো তোমাদেরইতো দোষ,আদর দিয়ে দিয়ে তোমরা ওকে মাথায় তুলে ফেলেছো।ও যাই বলছে তোমরা লাফাতে লাফাতে তাই করছো,তোমাদের আস্কারা পেয়ে পেয়েই ও দিন দিন out of control হয়ে যাচ্ছে।এখনও সময় আছে সাবধান হও নাহলে কিন্তু পরে পস্তাতে হবে…

এতক্ষণ যাদের কথা শুনছিলেন তারা হচ্ছে আমার আম্মু আর ভাইয়া।ও আপনারা তো আমার পরিচয়টাই জানেন না,আচ্ছা ঠিক আছে একে একে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি…
সবার আগে….হ্যাঁ আমার আব্বু…  ভালোবাসার হাতছানি
আমার আব্বু-মি. ইকবাল খান,খান শিপিং এজেন্সির মালিক।চিটাগাং সি পোর্টের ৭০% চালানই আমাদের জাহাজ আর নৌকার মাধ্যমে হয়,দেশের খ্যাতনামা বিজনেসম্যানদের মধ্যে তিনিও একজন।ব্যবসার ক্ষেত্রে তিনি যতটা স্ট্রিক্ট,পারিবারিক ম্যাটারে ঠিক ততটায় সেনসিটিভ আর কেয়ারিং।আমাদের তিন ভাই-বোনের জন্য তিনি নিজের জীবনটাও দিয়ে দিতে পারেন তবে তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন আমাকে আর আমিও আব্বুকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।আর একটা গোপন কথা বলি,কাউকে বলবেন না কিন্তু,আব্বু কিন্তু এখনও অনেক রোমান্টিক,আম্মুকে এখনও অনেক বেশি ভালোবাসেন,মাঝে মাঝেই আম্মুর জন্য উনার ফেভারিট শিউলি ফুলের মালা নিয়ে আসেন,ব্যপারটা আর কেউ টের না পেলেও আমি কিন্তু বুঝে যাই কারণ আমারও শিউলি ফুল অনেক পছন্দ তাই গন্ধেই সবকিছু বুঝে যাই।আমার কাছে উনাদের জুটিটা উত্তম-সুচিত্রা বা রাজ্জাক-শাবানার থেকে কোন অংশে কম লাগে না।মাঝে মাঝে আম্মুকে দেখে হিংসে হয় ইশ!এমন একটা রোমান্টিক বর যদি আমি পেতাম,যে রোজ রাতে আমার চুলের খোঁপায় শিউলিমালা পরিয়ে দেবে…

আমার আম্মু-মিসেস সুরাইয়া খানম
সাদা-সিধে,নম্র-ভদ্র আর প্রচণ্ড রকমের মিশুক আর অতিথি পরায়ন একজন মানুষ।বি.কম কমপ্লিট করেছেন কিন্তু এখন পুরো দস্তুর গৃহিনী,সংসারের পুরো হাল ধরে রেখেছেন নিজের একা হাতে।
আম্মুর সবচেয়ে বড় উইকনেস হচ্ছে রান্না!কি?অবাক হলেন তাইনা?আসলে আম্মু রান্না করতে ভীষণ পছন্দ করেন,ট্রেডিশনাল রান্নায় উনার জুড়ি মেলা ভার কিন্তু তাতেও তিনি ক্ষান্ত দেন নি।টিভিতে বিভিন্ন রান্নার অনুষ্ঠান দেখে রোজ রোজই নতুন নতুন রান্না ট্রাই করেন আর এক রকম জোর করেই আমাদের সবাইকে সেগুলো খাওয়ান।বেশিরভাগ রেসিপিই হয় একেবারে অখাদ্য তবুও আমাদের সেগুলো মুখ বন্ধ করে খেয়ে যেতে হয় আর অবলীলায় মিথ্যে প্রশংসাও করতে হয়।After all আম্মু রান্না করেছে বলে কথা,মায়ের রান্নাকে কি আর কেউ খারাপ বলতে পারে…
আমার একটা জিনিস কিছুতেই মাথায় আসে না,এসব রান্নার অনুষ্ঠানে এমন সব উদ্ভট রান্না করা শিখিয়ে ওদের কি লাভ?শুধু শুধু আমাদের মত নিরীহ প্রাণীদের খুন করার নতুন নতুন রাস্তা উদ্ভাবন করার কোন যুক্তি আসে?আমার যদি সাধ্য থাকতো তাহলে মিসেস কেকা ফেরদৌসী আন্টিকে Atempt to murder কেসে শুলে চড়াতাম নয়তো এই অপ্রাধে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে উনাকে উনার নিজের রান্না করা খাবারই তিনবেলা খেতে দিতাম…

ভালোবাসার গল্প তুমি আমার

এবার আসি আমার ভাইয়ার কাছে।
একটু আগে যেই এংরি ইয়াংম্যানের কথা শুনছিলেন তিনিই আমার ভাইয়া ইশতিহার ইকবাল শ্রাবন,The best brother in the world.ভাইয়া এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে আমাকে,আমার জন্য নিজের সব সুখ-শান্তি বিসর্জন দিতে পারে।ভাইয়া আমাদের ভাই-বোনদের মধ্যে সেকেন্ড মানে মেজো।শুনেছি বাড়ির মেজো ছেলে-মেয়েগুলো নাকি বদের হাড্ডি হয়,ভাইয়াকে না দেখলে হয়তো কথাটা অবলীলায় বিশ্বাস করে নিতাম কিন্তু ভাইয়াকে দেখার পর আর তা সম্ভব না কারণ ভাইয়ার মত নম্র ভদ্র আর ভালো ছেলে টর্চলাইট দিয়ে খুঁজলেও আর দুই একটা পাওয়া যাবে কিনা আমার সন্দেহ আছে।ভাইয়া বড় আপুর থেকে মাত্র দেড় বছরের ছোট কিন্তু ওর আচার-আচরণে যে কেউ মনে করবে যে ও আমাদের বড় ভাইয়া।আর বলবে নাই বা কেন?ছোট থেকেই আমাদের দুই বোনকে দুহাতে আগলে রেখেছে আমাদের ভাইয়া।ভাইয়া অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ে কিন্তু এখনই পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার বিজনেসের দেখাশোনা শুরু করে দিয়েছে…
ভাইয়ার শুধু একটাই প্রবলেম,খুব সহজে রাগে না তবে একবার রাগলে আর নিজেকে কনট্রোল করতে পারে না।তাই যখনই রেগে যায় নিজেকে নিজের রুমে বন্দী করে রাখে,দরজা জানালা সব বন্ধ করে রুম অন্ধকার করে বসে থাকে,রাগ কমলে তখনই বের হয় তার আগে না।

আমার বড় আপু-ইরতিজা ইকবাল শ্রুতি
নামেই আমাদের মধ্যে বড় কিন্তু আচার-আচরণে,কার্যকলাপে আমাদের সবার মধ্যে ছোট।প্রচণ্ড রকমের জেদি আর একরোখা,একবার যা বলবে করেই ছাড়বে আর পড়াশোনা, কাজেকর্মে এক্কেবারে ঢেঁড়স,একেবারে অকর্মার ঢেঁকি বলতে যা বোঝায় তাই।আপুর সবচেয়ে পছন্দের কাজ হচ্ছে ঘুম,একবার ঘুমালে ওকে উঠানোর সাধ্য আর কারো নেই,আমারতো মাঝে মাঝে মনে হয় ওকে ঘুমন্ত অবস্থায় চিটাগাং থেকে ঢাকায় কিডন্যাপ করে নিয়ে গেলেও ও কিছুই টের পাবেনা!ভাইয়া আর আপুর সম্পর্কটা অনেকটা টম এন্ড জেরি কার্টুন সিরিজের মত।ভাইয়া ওকে একেবারেই সহ্য করতে পারে না শুধুমাত্র ওর এই একরোখা জেদের জন্য কিন্তু আম্মু…শ্রুতি আপু হচ্ছে আম্মুর চোখের মণি,ভাইয়ার অভিযোগ আম্মুর লাই পেয়ে পেয়েই নাকি ও মাথায় উঠে গেছে,ওর এই অধঃপতনের জন্য নাকি আম্মুই দায়ী…
.
এবার আসি আমার পরিচয়ে,আমি শ্রেয়া,ইপ্সিতা ইকবাল শ্রেয়া।আমি পরিবারের সবচেয়ে ছোট সন্তান আর সবার নয়নের মণি বিশেষ করে ভাইয়ার আর বাবার।আপাতত আমার এইটুকু পরিচয় জানলেই চলবে,আসলে আমার সম্পর্কে বলার মত আর তেমন কিছুই নেই যেটুকু আছে ধীরে ধীরে সবই জানতে পারবেন…

পরিচয় পর্বতো শেষ,এবার আজকের ঘটনায় আসা যাক?আমরা সবাই এখন একটা এসি ডিলাক্স বাসে করে চিটাগাং থেকে শেরপুরের দিকে যাচ্ছি,সবাই বলতে আমরা আর আমাদের কিছু আত্মীয়-স্বজন।আর এর পেছনের কারণটা হচ্ছে বড় আপু মানে শ্রুতি আপুর বিয়ে।খন্দকার গ্রুপ অফ ইণ্ডাস্টিজের মালিক সাজাহান খন্দকারের একমাত্র পুত্র আকাশ খন্দকারের সাথে শ্রুতি আপুর বিয়ে ঠিক হয়েছে।
শ্রুতি আপু আর আকাশ ভাইয়া একই ভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছে,দুজন দুজনকে অনেক পছন্দও করে আর তাই আমাদের দুই পরিবারই এই বিয়েতে সানন্দে রাজি হয়ে গেছে।কিন্তু সমস্যাটা বাঁধল অন্য জায়গায়,শ্রুতি আপু জেদ ধরে বসল যে destination weeding করবে তাও আবার কোন রয়্যাল প্যালেসে অথবা ভাল কোন tourist destination এ!
Destination wedding,এই ট্রেন্ডটা আমাদের দেশে এখনও সেভাবে পরিচিতি পায়নি।তবে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ইদানিং এই ট্রেণ্ডটা ব্যাপকভাবে প্রচলিত,বিশেষ করে ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে আর ওয়েস্টার্ন কালচারেতো এটা খুবই ইউজুয়াল একটা ব্যপার।যারা এই ব্যাপারে তেমন কিছু জানেন না তাদের জন্য ব্যাপারটা একটু ক্লিয়ার করে দিচ্ছি তবে হ্যাঁ আমি নিজেও কিন্তু এই বিষয়ে খুব বেশি কিছু জানিনা তাই ভুল-ত্রুটি হলে মার্জনা করবেন…
Destination wedding হল এক বিশেষ বিবাহ রীতি যাতে বিয়ের জন্য বাড়ি থেকে দূরে একটা স্পেসিফিক destination ঠিক করা হয়।জায়গাটা সাধারণত কোন ঐতিহাসিক নিদর্শন বা ইকোনোমিকালি অথবা ন্যাচারালি খুব রিচ হয়।সিলেক্ট করা জায়গাটাতে বর এবং কনে পক্ষের সবাই একটা লং টাইমের জন্য চলে যায় এবং সবাই একসাথে পাশাপাশি থেকে সেখান থেকেই বিয়ের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পন্ন করে।ব্যাপারটা অনেকটাই ট্যুরের মত তবে কিছুটা পার্থক্য অাছে…
তো শ্রুতি আপুকে হাজার বুঝিয়েও যখন কোন লাভ হল না তখন অনেক কষ্টে বাবা আর খন্দকার আঙ্কেল মিলে শেরপুর শহরের অদূরে এই মহুয়া কটেজটা মাত্র দশদিনের জন্য ব্যবহার করার অনুমতি ম্যানেজ করেছে।আর আমরা সবাই এখন সেখানেই যাচ্ছি,আকাশ ভাইয়াদের ফ্যামিলি দুদিন আগেই ওখানে পৌঁছে গেছে।একটু ঝামেলা থাকায় আমাদের আসতে একটু দেরি হয়ে গেল…

-ও..ম্যাডাম তাহলে এতক্ষণ ধরে এই কাজ করছিল?
-আহ্ ভাইয়া,ডায়রীটা দে প্লিজ…
-কেন?আমিওতো দেখি আমার পিচ্চি বোনটা তার ডায়রীতে কি কি লিখে রেখেছে…
-প্লিজ ভাইয়া…
-আচ্ছা ঠিক আছে,এই নে ধর
-Thank you ভাইয়া…(জড়িয়ে ধরে)
-আমার পাগলী বোনটা,তা আজকে তোর ডায়রীতে কি কি লিখলি?
-কিছুই না
-তাহলে এতক্ষণ ধরে কি করছিলি?
-পড়ছিলাম
-তোর লেখা তুই পড়তে যাবি কেন?

-কোন কাজ নেই তাই
-ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিলাম,আমার পিচ্চি বোনটা যাকে আমি এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।প্রচণ্ড রকমের শান্ত-শিষ্ট আর ভাল মেয়ে,সবসময় চুপচাপ থাকে কিন্তু সবার সব রকম খবরাখবর রাখে।সবার ভাল-মন্দ,কখন কার কি লাগবে সবকিছুর।এক কথায় সবদিক দিয়েই পারফেক্ট আমার বোনটা,শুধু একটা দিক ছাড়া আর সেটা হল ইজিলি সবার সাথে মিশতে পারে না তাই ভালোভাবে কারো সাথে চেনা জানা না হওয়া পর্যন্ত ইউজুয়ালি এভয়েড করার চেষ্টা করে
-ভাইয়া…
-কিছু বলবি?(চমকে উঠে)
-মন খারাপ?
-আরে না…
-তাহলে?
-ওই একটু মেজাজ খারাপ
-কেন?
-কেন আবার,ঐ শ্রুতিটার জন্য।তুই ই বল এসবের কোন মানে হয়?
-কেন?
-সব সময় ঐ হিন্দি সিরিয়াল আর রাবিশ রিয়ালিটি শো গুলো দেখে দেখে পেত্নীটার মাথায় এসব ভূত চেপেছে
-তাহলে ওকে কিছু বলছিস না কেন?
-বলতাম কিন্তু ওর মুখের দিকে একবার তাকিয়ে দেখ,কি দেখতে পাচ্ছিস?
-কি?
-ওকে কত খুশি লাগছে দেখেছিস?
-হুম
-ওর এই হাসি-খুশি মুখটা দেখে আর কিছু বলতে পারছি না।হাজার হোক আমাদেরইতো বোন,তাই ওর হাসির জন্য সব করতে পারি…
-শুধু ওকেই ভালোবাসিস!আর আমি?
-(ওর মাথায় হাত বুলিয়ে)আরে পাগলী তোকেতো আমি আমার নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি
(খুশি হয়ে ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরলাম)
-Love you so much ভাইয়া
-Love you too পিচ্চু…
চলবে…
#নোটঃ অনেকদিন পর গল্প লিখছি,প্রচণ্ড রকমের ব্যস্ততার মধ্যে আছি তাছাড়া অসুস্থতাতো আছেই।তাই হয়তো নিয়মিত গল্প দিতে পারব না,তবুও চেষ্টা করব যতটা রেগুলারিটি মেইনটেইন করা যায় করব।কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না.. ভালোবাসার গল্প তুমি আমার

Sunday, January 5, 2020

The annual tree fair

                                                           The annual tree fair

The annual tree fair or Brikkho Mela in Dhaka is held every year. The venue is the national parade ground in Agargaon. Brikkho Mela in Dhaka could be the ultimate destination for any nature enthusiasts. The main attraction of the fair is essentially the huge variety of trees, tiny or big. Many of the plants were suitable for rooftop gardening that only requires some free space, average to large size drums and fertile soil suitable for plant growth.

The annual tree fair in Bangladesh usually takes place during June-July every year and continues for a month. Prime Minister Sheikh Hasina inaugurated the programs of the World Environment Day and Environment Fair-2019 and the National Tree Plantation Campaign and Fair-2019 at BICC in Agargaon yesterday (June 20, 2019). Brikkho Mela opens at 9 am and closes at 9 pm. It will end on 20th July.


bdquotes

The fair had the affluence of exotic varieties of plants. Local and foreign varieties such as Egyptian sweet fig, longan, dragon fruit, passion fruit, avocado, Jambura (pomelo), Tetul (tamarind), Sofeda (sapodilla), mango, jackfruit, etc were available too. Prices depended on the size of the plants and their availability in the market and varied from some hundreds to some thousands.

Some stalls sold dried oyster mushrooms. There were other kinds of mushrooms too. Some stalls showcased various Bonsai trees for sale. Banyan and Ashwath Bonsai were most popular. Recently, Bangladeshi Bonsai Artists are working on local trees. Some are working on developing Bonsai of mango, Hijol plants, etc.


Many stores sold different types of honey including kali jeera, mustard, lychee, etc. Herbal plants, commonly known as medicinal plants, were available too.
The Brikkho Mela slogan goes like this: “Plant at least four trees before you cut one down.” Trees are essential and they are useful to us in so many ways. We should plant trees for our own interest, for environmental stability and for the sake of future generations. Plant as many trees as you can in your life. This is something everyone can do. Even when you plant trees in your own garden, it is helping everyone around you. Let’s make the earth green again!


Huge varieties of plants are available in the annual tree fair or Brikkho Mela held in Dhaka. Everyone should visit it at least once in their life.